ধারা : ১. সমিতির নাম

একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, অসাম্প্রদায়িক ও অলাভজনক সমিতি হিসেবে বাংলায় ‘সিলেটস্থ দোয়ারাবাজার সমিতি, সিলেট’ এবং ইংরেজিতে ‘Sylhetastha Dowarabazar Samity’ নামে অভিহিত হবে।

ঠিকানা :
সিলেট সিটি করপোরেশনের এলাকায় উপযুক্ত যেকোনও স্থানে এটির অফিস থাকবে।
সমিতির কাজের ক্ষেত্র হবে সিলেট মেট্রোপলিটন ও আশপাশের এলাকা এবং প্রয়োজনে কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দোয়ারাবাজার উপজেলার যেকোনও এলাকা।

ধারা : ২. পরিভাষা

এই গঠনতন্ত্রে উল্লিখিত পরিভাষাসমূহের অর্থ নিম্নরূপ—

ক. ‘সমিতি’ বলতে ‘সিলেটস্থ দোয়ারাবাজার সমিতি, সিলেট’কে বুঝাবে।
খ. ‘গঠনতন্ত্র’ বলতে ‘সিলেটস্থ দোয়ারাবাজার সমিতি, সিলেট’-এর গঠনতন্ত্র ও তার সংশোধনীসমূহকে বুঝাবে।
গ. ‘কার্যনির্বাহী কমিটি’ বলতে ‘সিলেটস্থ দোয়ারাবাজার সমিতি, সিলেট’-এর কার্যনির্বাহী কমিটিকে বুঝাবে।
ঘ. ‘কমিশন’ বলতে ‘সিলেটস্থ দোয়ারাবাজার সমিতি, সিলেট’-এর কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশনকে বুঝাবে।

ধারা : ৩. সমিতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

ক. সমিতির সকল সদস্যের মধ্যে পারস্পরিক ঐক্য, সহযোগিতা ও সহমর্মিতা স্থাপন করা।
খ. সমাজের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে অবদান রাখা।
গ. শিক্ষার উন্নয়ন ও দুস্থ মানবতার সেবায় ভূমিকা রাখা।
ঘ. সমিতির সকল সদস্যের সার্বিক কল্যাণ ও আইনানুগভাবে তাঁদের ন্যায়সংগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট থাকা।
ঙ. বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও অনুষ্ঠান পালন করা।

ধারা : ৪. সদস্য হওয়ার যোগ্যতা / সদস্যপদ প্রাপ্তি

দোয়ারাবাজার উপজেলার বাসিন্দা, স্থায়ীভাবে বা অস্থায়ীভাবে সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় বসবাসকারী যেকোনও নাগরিক সমিতির সদস্য হতে পারবেন।
তবে দেশে ও বিদেশে বসবাসরত দোয়ারাবাজার উপজেলার যেকোনও নাগরিক আজীবন সদস্য হতে পারবেন।

সদস্যদের শ্রেণি বিভাগ :

১. প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
২. সাধারণ সদস্য
৩. আজীবন সদস্য

ধারা : ৫. সদস্যপদ বাতিল

ক. যেকোনও সদস্য স্বেচ্ছায় সমিতি হতে পদত্যাগ করলে।
খ. গঠনতন্ত্র পরিপন্থী তথা রাষ্ট্রের আইনবিরোধী কোনও কাজে লিপ্ত থাকলে।
গ. সমিতির সদস্য সাধারণ চাঁদা (সাধারণ সভায় নির্ধারিত) প্রদান না করলে।
ঘ. কোনও সদস্য মৃত্যুবরণ করলে সদস্যপদ বিলুপ্ত বলে গণ্য হবে।

ধারা : ৬. তহবিল গঠন ও লেনদেন

ক. সদস্যদের প্রদত্ত সদস্য ফি আদায়, সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে কোনও বিশেষ চাঁদা আদায় (মাসিক বা বার্ষিক) এবং অন্যান্য অনুদান গ্রহণের মাধ্যমে সমিতির তহবিল গঠিত হবে।
খ. আদায়কৃত সকল অর্থ বাংলাদেশের যেকোনও একটি তফসিলি ব্যাংকে গচ্ছিত থাকবে।
গ. সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ (অর্থ সম্পাদক)—এই তিনজনের মধ্যে যেকোনও দুইজনের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হবে।

ধারা : ৭. কার্যনির্বাহী কমিটি

সমিতির কার্যক্রম নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালনার জন্য দুই (২) বছর মেয়াদী নিম্নবর্ণিত ৫১ সদস্যের একটি কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হবে।

কার্যনির্বাহী কমিটির পদ ও সদস্যসংখ্যা

মোট সদস্য সংখ্যা : ৫১ জন

বিশেষ বিধান

কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক কোনও অবস্থাতেই একাধারে দুই মেয়াদের অধিক দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

ধারা : ৮. কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হওয়ার মানদণ্ড / যোগ্যতা

ক. কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্যকে সমিতির নিয়মিত সদস্য হতে হবে।
খ. কার্যনির্বাহী কমিটির কোনও সদস্যই রাষ্ট্রবিরোধী কোনও কাজে লিপ্ত হতে পারবেন না।
গ. আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত বা মানসিক বিকারগ্রস্ত কোনও ব্যক্তি কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হতে পারবেন না।
ঘ. কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্যকে বিনয়ী, সজ্জন ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে।

ধারা : ৯. কার্যনির্বাহী কমিটির ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য

ক. সমিতির সকল সদস্যের সমঅধিকার, দায়িত্ব, কর্তব্য ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবেন এবং সংগঠনের যাবতীয় কার্য পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা কার্যনির্বাহী কমিটির উপর ন্যস্ত থাকবে।
খ. সমিতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কার্যনির্বাহী কমিটি প্রধান ভূমিকা পালন করবে।
গ. কার্যনির্বাহী কমিটি সংগঠনের তহবিল নিয়ন্ত্রণ করবে এবং সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় আয়-ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন করবে।
ঘ. প্রয়োজনে কার্যনির্বাহী কমিটি সমিতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কোনও বিশেষ কাজ সম্পাদনের জন্য সমিতির সদস্যবৃন্দের দ্বারা এক বা একাধিক উপ-কমিটি গঠন করতে পারবে।
ঙ. কার্যনির্বাহী কমিটি সমিতির বার্ষিক বাজেট তৈরি করে তা বিবেচনা, প্রয়োজনীয় সংশোধন ও অনুমোদনের জন্য সাধারণ সভায় পেশ করবে।
চ. কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সিদ্ধান্তই যেকোনও সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে অনুমোদিত হবে। প্রত্যেক সদস্যের একটি করে ভোট প্রদানের অধিকার থাকবে। কোনও প্রস্তাবের পক্ষে ও বিপক্ষে সমানসংখ্যক ভোটের ক্ষেত্রে সভাপতি কাস্টিং ভোট প্রয়োগ করতে পারবেন।
ছ. সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদকাল হবে দুই (০২) বছর। ১লা জানুয়ারি থেকে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কে কার্যনির্বাহী কমিটির কার্যকালীন বছর গণনা করা হবে। কমিটির মেয়াদকালের শেষ নভেম্বর মাসের মধ্যে নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন / নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ধারা : ১০. উপদেষ্টা কমিটি

সমিতির ৯ (নয়) থেকে ১১ (এগারো) সদস্যের একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠিত হবে, যারা সকলেই সমিতির সদস্য হবেন।
উপদেষ্টা কমিটির সদস্যগণ সমিতির বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এবং সমিতির প্রয়োজনে সমিতিকে দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করবেন।

ধারা : ১১. কার্যনির্বাহী কমিটির বিভিন্ন সদস্যের ক্ষমতা ও দায়িত্ব

উপধারা : ১. সভাপতি

ক. সভাপতি গঠনতন্ত্র মোতাবেক কার্যনির্বাহী কমিটির প্রধান হবেন এবং গঠনতন্ত্রে বর্ণিত নিয়মসমূহ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবেন।
খ. তিনি সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি ও সকল সাধারণ সভার সভাপতিত্ব করবেন এবং সকল সভায় আইন ও পদ্ধতিগত বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করতে পারবেন।
গ. সভাপতি তাঁর কার্যাবলির জন্য কার্যনির্বাহী কমিটি ও সাধারণ সভার নিকট দায়বদ্ধ থাকবেন।
ঘ. উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে সাধারণ সভা আহ্বানের মাধ্যমে প্রয়োজনে কার্যনির্বাহী কমিটি বাতিল করতে পারবেন, তবে এরূপ বাতিলের পক্ষে সাধারণ সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ (২/৩) সমর্থন থাকতে হবে।

উপধারা : ২. সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি

ক. সিনিয়র সহ-সভাপতি সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভার সভাপতিত্ব করবেন এবং সভাপতিকে সমিতির কার্যনির্বাহে সার্বিক সহযোগিতা করবেন।
খ. সভাপতিকে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনায় সহযোগিতা করবেন।
গ. সভাপতি ও কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
ঘ. সভাপতি ও সিনিয়র সহ-সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি সভার সভাপতিত্ব করবেন।

উপধারা : ৩. সাধারণ সম্পাদক

ক. সাধারণ সম্পাদক কমিটির কার্যকরী প্রধান হবেন এবং গঠনতন্ত্র মোতাবেক তিনি সকল দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁর সকল কাজের জন্য তিনি সভাপতির নিকট দায়বদ্ধ থাকবেন এবং সভাপতির মাধ্যমে কার্যনির্বাহী কমিটি ও সাধারণ সভার কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন।
খ. তিনি সভাপতির অনুমোদনক্রমে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ও সাধারণ সভা আহ্বান করবেন। তাঁকে সকল সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধকরণ এবং পরবর্তী সভায় অনুমোদনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
গ. সমিতির সকল নথিপত্র সুচারুভাবে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবেন।
ঘ. তিনি সমিতির কার্যাবলির বার্ষিক / দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি করে সাধারণ সভায় উপস্থাপন করবেন।
ঙ. সাধারণ সম্পাদক সমিতির পক্ষে সকল প্রকার আর্থিক লেনদেনে বিধি-বিধান অনুসরণপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং ব্যাংক হিসাব পরিচালনায় সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষকে সহায়তা করবেন।
চ. সাধারণ সম্পাদক সমিতির মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

উপধারা : ৪. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক

ক. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদককে সুচারুভাবে কার্যনির্বাহ করতে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবেন এবং সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তাঁর দায়িত্ব পালন করবেন।
খ. সভাপতি ও কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।

উপধারা : ৫. অর্থ সম্পাদক / কোষাধ্যক্ষ

ক. অর্থ সম্পাদক সমিতির তহবিল সংরক্ষণ করবেন এবং সমিতির পক্ষে সকল প্রকার আর্থিক লেনদেনের দায়িত্ব পালন করবেন।
খ. তিনি সমিতির যাবতীয় খরচের জন্য একটি ক্যাশবুক ব্যবহার করবেন এবং আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থাপন করবেন।
গ. তিনি সাধারণ সম্পাদককে সঙ্গে নিয়ে আলোচনাক্রমে বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন করবেন এবং তা কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট পেশ করবেন।
ঘ. বাজেট অনুযায়ী সকল ব্যয় নির্বাহে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য সম্পাদকের সাথে আলোচনা করে কোষাধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হবে। তবে পূর্ববর্তী অগ্রিম সমন্বয়ের পর পরবর্তী অর্থ উত্তোলন করা হবে।
ঙ. সমিতির সকল টাকা কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদনক্রমে একটি তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখবেন।

উপধারা : ৬. সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক

ক. সমিতির কার্যক্রমে গতিশীলতা আনা, সভায় সদস্যগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, সদস্য অন্তর্ভুক্তিকরণ ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়নে সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকগণ সহায়তা করবেন।
খ. তারা তাদের কার্যক্রমের জন্য কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট দায়ী থাকবেন।

উপধারা : ৭. দপ্তর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক

ক. সাধারণ সম্পাদককে সঙ্গে নিয়ে সমিতির সকল রেকর্ডপত্র সংরক্ষণসহ প্রশাসনিক কাজ সম্পাদন করবেন।
খ. সমিতির কর্মকান্ড সম্পর্কিত সকল প্রকার প্রচার কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করবেন।
গ. তিনি কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট দায়ী থাকবেন।

উপধারা : ৮. সমাজকল্যাণ সম্পাদক

ক. সিলেটস্থ দোয়ারাবাজার সমিতির সদস্যবৃন্দের কল্যাণমুলক কাজ, আর্তমানবতার সেবা, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সহযোগিতা প্রদান, অসুস্থ বা দুঃস্থদের সহায়তা এবং বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক কল্যাণমূলক কার্যক্রমে কার্যনির্বাহী কমিটির পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবেন।

উপধারা : ৯. ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক

ক. সমিতির বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন।
খ. নাটক, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও বিভিন্ন সাহিত্যবিষয়ক কার্যক্রমের ব্যবস্থা করবেন।
গ. তিনি তার কাজের জন্য কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট দায়ী থাকবেন।

উপধারা : ১০. আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক

ক. সংগঠনের স্বার্থ-সংক্রান্ত বিষয়ে আইনগত সহায়তা ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবেন।
খ. প্রবাসী সদস্যদের সাথে সাংগঠনিক যোগাযোগ স্থাপন করবেন।

উপধারা : ১১. শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ও সহশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক

ক. সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষাউন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। যেমন– মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, অসচ্ছল মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা উপকরণ (বই, খাতা, কলম, পোশাক) বিতরণ ইত্যাদি।
খ. তিনি তার কাজের জন্য কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট দায়ী থাকবেন।

উপধারা : ১২. মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও সহ-মহিলাবিষয়ক সম্পাদক

ক. সমিতির বিভিন্ন কার্যক্রমে মহিলা সদস্যদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ এবং অধিকার আদায়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন।
খ. তারা তাদের কাজের জন্য কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট দায়ী থাকবেন।

উপধারা : ১৩. নির্বাহী সদস্য

ক. সভাপতির ও সহ-সভাপতির অনুপস্থিতিতে কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সদস্য সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
খ. কার্যনির্বাহী কমিটির প্রত্যেক সদস্য গঠনতন্ত্রের ধারা-৮ মোতাবেক স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করবেন।
গ. কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যগণ কমিটির বিভিন্ন কার্যক্রমের উপর নজর রেখে সভায় গঠনমূলক ভূমিকা রাখবেন এবং কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
ঘ. তিনিই কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট দায়ী থাকবেন।

ধারা : ১২. সভা আহবান

সমিতির পাঁচ (০৫) ধরনের সভা অনুষ্ঠিত হবে:
ক. সাধারণ সভা
খ. কার্যকরী পরিষদের সভা
গ. জরুরি সভা
ঘ. মূলতিব সভা
ঙ. তলব সভা

• কার্যনির্বাহী কমিটি বাজেট ও অন্যান্য কর্মসূচি অনুমোদনের জন্য কমপক্ষে ১/৩ (এক-তৃতীয়াংশ) সদস্য উপস্থিতিতে সাধারণ সভা আহ্বান করবেন। সভার বিজ্ঞপ্তি ন্যূনতম ৭ (সাত) দিন পূর্বে প্রদান করতে হবে।

• বছরের শেষ হওয়ার পূর্বে বার্ষিক রিপোর্ট ও হিসাব-নিরীক্ষা (অডিট) রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার জন্য কমপক্ষে ১/৩ সদস্যের উপস্থিতিতে সাধারণ সভা ও বার্ষিক ভোজ/ বনভোজন আয়োজন করবেন।

• প্রতি তিন (৩) মাস অন্তর কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে; বছরে দুই/তিনটি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

• কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ২/৩ (দুই-তৃতীয়াংশ) সদস্যের উপস্থিতি কোরাম হিসেবে গণ্য হবে। সাধারণ সভায় ১/৩ (এক-তৃতীয়াংশ) সদস্যের উপস্থিতি কোরাম হিসেবে গণ্য হবে।

• জরুরি প্রয়োজনে তিন (০৩) দিনের বিজ্ঞপ্তিতে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হতে পারবে। জরুরি সাধারণ সভার জন্য কোনও কোরামের প্রয়োজন হবে না।

ধারা : ১৩. তলবি সভা আহবান ও কমিটি বাতিল

• সমিতির মোট সদস্যবৃন্দের মধ্যে ১/৩ (এক-তৃতীয়াংশ) ভোটে কার্যনির্বাহী কমিটির প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব পাস হলে উক্ত কমিটি বাতিল হবে।

• অনাস্থা প্রস্তাব সভাপতি বরাবর লিখিত আবেদন হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে এবং এটি নিয়মিত সদস্যদের ১/৩ স্বাক্ষরিত হতে হবে।

• আবেদন গ্রহণের ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সভা আহ্বানের জন্য নোটিশ প্রদান করবেন।

• অনাস্থা প্রস্তাব পাস হলে ৩০ দিনের মধ্যে নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

• যদি সভাপতি সভা আহ্বানের ব্যবস্থা না করেন, স্বাক্ষরকারীদের মধ্য থেকে মনোনীত ব্যক্তি ৭ (সাত) দিনের নোটিশে তলব সভা আহ্বান করতে পারবেন এবং সেই সভার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।

ধারা : ১৪. শূন্যপদ পূরণ

• পদত্যাগ, শারীরিক অসুস্থতা, মৃত্যু, সাময়িক বিহিতকার্য বা একাধিক সাধারণ সভায় অনুপস্থিতির কারণে কার্যনির্বাহী কমিটির কোনও সদস্যপদ শূন্য হলে, কার্যনির্বাহী কমিটির অন্য সদস্যকে উক্ত পদে মনোনয়ন/নিয়োগ দেওয়া যাবে।

ধারা : ১৫. অডিট

• প্রতি দুই বছর অন্তর কার্যনির্বাহী কমিটি সমিতির সদস্যদের মধ্য থেকে নিরীক্ষা কার্যক্রমে তিন (০৩) সদস্যবিশিষ্ট অডিট কমিটি গঠন করবে।

• কমিটি সমিতির যাবতীয় হিসাব-নিকাশ পরীক্ষা করবে এবং অডিট প্রতিবেদন সাধারণ সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করবে।

কমিটি গঠন:
১. আহবায়ক / চেয়ারম্যান – ১ জন
২. সদস্য – ১ জন
৩. সদস্য সচিব – ১ জন।

ধারা : ১৬. নির্বাচন কমিশন

• প্রতি দুই বছর অন্তর চলমান কার্যনির্বাহী কমিটির শেষ সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচনের জন্য তিন (০৩) সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।

কমিটি গঠন:
১. প্রধান নির্বাচন কমিশনার – ১ জন
২. নির্বাচন কমিশনার – ২ জন

• উক্ত কমিশন সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের জন্য বিধিমালা/নিয়মনীতি প্রণয়ন করে নির্বাচন পরিচালনা করবেন।

• কমিটি কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের সময় যে কোনও সমস্যা বা জটিলতা সৃষ্টি হলে তা নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে এবং নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি সমিতিকে উপহার হিসেবে প্রদান করবে।

ধারা : ১৭. গঠনতন্ত্র সংশোধন

• পরিবর্তন, সংযোজন বা সংশোধনের যোগ্য যেকোনও ধারা বা উপধারা সংশোধন করা যাবে।

• সংশোধনী প্রস্তাব সাধারণ সভার পনের (১৫) দিন পূর্বে সভাপতির নিকট লিখিতভাবে পেশ করতে হবে এবং এটি ন্যূনতম সমিতির ১/৪ (এক-চতুর্থাংশ) সাধারণ সদস্য কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে।

• প্রতিটি সংশোধনী প্রস্তাব সাধারণ সভায় সমিতির মোট সদস্যদের ১/৩ (এক-তৃতীয়াংশ) সমর্থন দ্বারা অনুমোদিত হবে।

ধারা : ১৮. সমিতির বিলুপ্তি

• সমিতি পরিচালনার জন্য ন্যূনতম সংখ্যক সদস্য সক্ষম বা সমিতি পরিচালনার উপযুক্ত না থাকলে একটি সাধারণ সভার মাধ্যমে সমিতি বিলুপ্তি ঘোষণা করা হবে।